ভিডিও

নাক কান গলার চিকিৎসক করলেন সিজার, রোগী সংকটাপন্ন 

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ০২:২৮ দুপুর
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ০২:৫৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: নাক কান গলা বিভাগের (ইএনটি) চিকিৎসক শাহীন রেজা করলেন এক প্রসূতির সিজার। ডলি খাতুন (৩০) নামে ওই রোগীর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশন করতে গিয়ে প্রসূতির খাদ্য ও মূত্রনালি কেটে ফেলা হয়েছে।

যশোর শহরের দেশ ক্লিনিকে ঘটে এ ঘটনা। এরপর রোববার বিকেলে ওই ক্লিনিকে গিয়ে রোগীর স্বজনরা ডা. শাহীন রেজাকে অপারেশন কক্ষে আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, তিনি গাইনি বা সার্জারি বিভাগের ডাক্তার নন। তবে এমবিবিএস ডাক্তার সব চিকিৎসা ও অপারেশন করতে পারেন। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে কর্মরত।

রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, ২৯ মে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ডলি খাতুন যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি হন। এসময় সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার পর ডলি খাতুনের সিজার করেন শাহীন রেজা। ওই প্রসূতি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসা শেষে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা। বাড়ি যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হয় রোগীর।

এরপর তাকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা করে জানানো হয়, রোগী অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন। তার খাদ্য ও মূত্রনালি সিজারের সময় কেটে ফেলা হয়েছে। পরে খাদ্য ও মূত্রনালি একসঙ্গে সেলাই করে দেওয়া হয়। যার কারণে মলমূত্র বের হচ্ছে মূত্রনালি দিয়ে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশনের সময় শাহীন রেজা নিজেকে গাইনি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপারেশন করেন। পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিলে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন যে, ওই ডাক্তার সদর হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের। তিনি কোনো গাইনি ডাক্তার নন। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

অপর একটি সূত্র জানান, ডা. শাহীন রেজা যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইএনটি বহির্বিভাগে রোগী দেখেন। তিনি কোনো সার্জারি ডাক্তার নন। কিন্তু শহরের ৪-৫টি ক্লিনিকে বিভিন্ন ধরনের সার্জারি করেন। ১৫ দিন আগেও তিনি একটি ক্লিনিকে এক রোগীর পিত্তথলির পাথর অপারেশন করে বিতর্কে পড়েন। ওই রোগীও অপচিকিৎসার শিকার হন বলে অভিযোগ। বর্তমান সেই রোগী ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

ডলি খাতুনের স্বজন সাকিবুজ্জামান সাকিব বলেন, অপারেশনের পর ডাক্তার বা প্রতিষ্ঠান তার খালার কোনো দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। বর্তমান রোগী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত রোগীর পেছনে ৫-৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু রোগী কোনোভাবেই সুস্থ হচ্ছে না। এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকে ডাক্তার ও রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রোগীর স্বজনরা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। ডাক্তারের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে ওই নারী। আর ডাক্তার বলছেন, তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করতে চেয়েছিলেন রোগীর স্বজনরা। কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS